এম.জামাল হোসেন ॥ নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের বারৈজ্জের হাটখোলা সংলগ্ন দিয়াপাড়া এলাকার মনতাজের পুত্র বাছেদ আলী চোরাই অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল বিক্রি করে এখন লাখপতি। ধরাছোয়ার বাইরে থেকে বাছেদ এখন তোয়াক্তা করে না কোনো আইনশৃংখলা বাহিনী সহ কাউকেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই বাছেদ চোরাই অটো সহ বিভিন্ন গাড়ী চোরাই ভাবে বাড়িতে এনে যন্ত্রাংশ খুলে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করছে। যাতে কেউ বুজতে না পারে এটা চোরাই গাড়ী। বাছেদের কাছে পাওয়া যায়, চোরাই অটোরিক্সার ব্যাটারী, পাতি, টায়ার, খালি বডি সহ বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ। অবৈধ ভাবে তার নিজের বাড়িতেই গড়ে তুলেছে বিশাল বানিজ্যিক এরিয়া। এই বাছেদ তার বাড়ি ছাড়াও একাধিক স্থানে রয়েছে তার স্টোর রুম। বরিশাল বিভাগ ছাড়াও, যশোর, সাতক্ষিরা, বেনাপোল, পিরোজপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার সিন্ডিকেট রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। বাছেদ এই বিভিন্ন স্থান থেকে তার সহযোগীতের কাছ থেকে এই সহ চোরাই মালামাল এনে তার বাড়িতে বসেই বিক্রি করে যাচ্ছে দেদারছে। এসব অটোরিক্সা রাতের আধারে এনে এই বাছেদের বাড়িতে এনে আলাদা আলাদা করে বিক্রি করে। এলাকার বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছে পুরান মটার, ব্যাটারী বিক্রি করে প্রতারনা করছে বলে এলাকার অনেকের অভিযোগ। এলাকাসূত্রে জানা যায়, বাছেদ এক সময় দিনমজুর ছিলো। পরে এক সময় এই ব্যবসা শুরু করে কয়েকজন সহযোগী সহ । এর পর থেকেই বাছেদ আস্তো আস্তো চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা। এখন বরিশাল সহ বরিশালের বাইরেও বাছেদের সিন্ডিকেট রয়েছে। দেখতে সাদাসিদে মনে হলেও এই বাছেদের সিন্ডিকেট অনেক বড়। দীর্ঘ দিন ধরে বাছেদ এই চোরাই ব্যবসা করে আসছে। বাছেদের কাছে সরাসরি এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাছেদ জানায়, চোরাই মালামাল সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা নাই। আমার কাছে যারা বিক্রি করতে চায় তাদের কাছ থেকেই আমি কিনে নিয়ে আসি। তিনি আরো বলেন, পরে তা খুলে তবে যাদের কাছ থেকে এসব অটোরিক্সা বা অন্যান্য জিনিস ক্রয় করে তার কোনো রশিদ দেখাতে পারে নি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বাছেদ বলেন, আমি যা কিছুই করি সবাইকে ম্যানেজ করেই করি। পুলিশ আর সাংবাদিক আমার পকেটে থাকে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপত্র মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, চোরাই মালামাল ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ, যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এ ছাড়াও যে সব এলাকায় চোরাই মালা মাল ক্রয় বিক্রয় হয় সে দিকেও বিশেষ নজরদারী করছে পুলিশ ।এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাই মাল হোক আর বৈধ মাল হোক বাড়িতে বসে ব্যবসা করলে তার কাগজপত্র প্রয়োজন আছে। তার যদি বাছেদের না থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
চোরাই অটোরিক্সার সিন্ডিকেটের মুল হোতা বাছেদ আলী পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে
