ন্যুনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ সহ পনের দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
কর্মসূচির চতুর্থ দিনে এসে চরম সংকটে পড়েছে নৌ পথে পণ্য পরিবহন, স্থবির হয়ে পড়েছে সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলো।
দেশজুড়ে সীমিত হয়ে পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল, যদিও ঢাকায় সদরঘাট থেকে কিছু যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করেছে।
নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলছেন ন্যূনতম মজুরীর যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সেটি মালিকরা বাস্তবায়ন না করার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অহেজুল ইসলাম বুলবুল বলছেন গত এপ্রিলে শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মজুরি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। এখন কর্তৃপক্ষকেই সেটি বাস্তবায়নের স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে এবং দেশজুড়ে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।
সদরঘাটেও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে নৌযান মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলছেন কর্মবিরতির নামে যা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি। এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই।
তবে মালিক ও শ্রমিকের এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ পণ্য পরিবহন প্রায় বন্ধ হয়ে আছে বন্দরগুলোতে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলছেন নৌযান নিয়ে অচলাবস্থায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন কারখানাগুলোতে কাঁচামালের সংকট দেখা দিচ্ছে এবং ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে জাহাজগুলোকে বড় ধরনের ক্ষতি মেনে নিতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যকার বিরোধ কমিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারের শ্রম পরিদপ্তরের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান।
তিনি বলেন তারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন এবং আশা করছেন দু একদিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।
যদিও সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের সাথেও বসতে রাজী হননি নৌ মালিকরা। তাই শ্রম পরিদপ্তরের প্রত্যাশা কতটুকু পূর্ণ হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ধর্মঘটে অচল নৌ শ্রমিক পণ্য পরিবহন
