আজ : ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
Breaking News

পুলিশ বিএনপিকে: মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে সভা করা যাবে:

মেটাল ডিটেক্টর, সিসিটিভি, আর্চওয়ে, যানবাহন স্ক্যানার মেশিন – ইত্যাদির নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি বসানো সহ মোট ২৭টি শর্ত পূরণ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৭ই নভেম্বর পালনের অনুষ্ঠান করতে হবে – এক চিঠিতে বিএনপিকে জানিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি অবশ্য ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সভা করার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা এভাবে মিলনায়তনের মধ্যে সভা করবেন না। বরং আগামী ১৩ই নভেম্বর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত বিএনপিকে দেয়া চিঠিটিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সভা করার মোট ২৭টি শর্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়।

বিএনপিকে দেয়া পুলিশের ২৭টি শর্ত সম্বলিত চিঠি
এর মধ্যে কয়েকটির মূল বক্তব্য হচ্ছে এই রকম: নিরাপত্তার জন্য মিলনায়তন এবং প্রতিটি প্রবেশপথে সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা , যানবাহন স্ক্যানের যন্ত্র বসাতে হবে। দৃশ্যমান আইডি কার্ড সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, মিলানায়তনের বাইরে কোন লাউডস্পিকার বা প্রজেকশনের ব্যবস্থা করা যাবে না। মিছিল সহকারে আলোচনা সভায় আসা যাবে না।

আইনশৃঙ্খলাপরিপন্থী, রাষ্ট্রবিরোধী বা বা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোন কার্যকলাপ করা বা বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
উস্কানিমূলক কোন ব্ক্তব্য দেয়া বা লাঠিসোঁটা ব্যবহার বা পোস্টার ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি ব্যবহার করা যাবে না।
আজান, নামাজ বা ‘অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে’ মাইক ব্যবহার করা যাবে না। ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন’ কোন ব্যঙ্গচিত্র প্রচার বা প্রদর্শন করা যাবে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবিসি বাংলাকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কাজ করছে না। বরং তারা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে বলেই বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেই আওয়ামী লীগ সারা শহর দখল করে নিয়ে সম্মেলন করলো। তখন তো পুলিশ তাদের কিছুই বলে নি।”
এর আগে ৭ই নভেম্বর উদযাপনের জন্য বিএনপি প্রথমে আবেদন করেছিল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ৭ তারিখ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল।
এ অনুমতি না পাওয়ায় তারা ৮ তারিখ প্রথমে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে এবং তার পর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চায়। এ অনুমতিও পাওয়া যায় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.