বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল নগরীর স্থানীয় গন পরিবহন হলুদ অটোরিকসার মালিক শ্রমিকরা চিহ্নিত চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি রয়েছে। সূত্রমতে, সিটিকর্পোরেশন ( বিসিসি) কর্তৃক টোকেন মেয়াদ উত্তীর্ণ অটো রিকসার সংখ্যা ২৬১০ টি এবং পূর্বের অবৈধ গাড়ীর সংখ্যা ছিলো প্রায় পাঁচ হাজার। সব মিলিয়ে আট হাজার অটোরিকশা এই নগরীতে চলাচল করে। কিন্তু মানবিক বিবেচনায় নগর পিতা মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অটোরিকশা গুলো নগরীতে সাময়িক চলাচলের সুযোগ দেয় । এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি মহল অবৈধ আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে অটোরিকশা কল্যাণ সমিতির নামে প্রতি মাসে অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা কালেকসনে মাঠ পর্যায়ে উত্তোলন করেন লেদু, আলমগীর, রব, আফজাল মজুমদার, জামাল গাজী, করিম , মরনসহ আরো অনেকে ।এই লেদু ও রব নাম মাত্র সংগঠনের একটি কার্ড তৈরি করে তার পিছনে সিল ও সাক্ষর করে কার্ডের পিছনে ৩০০ টাকা লিখে অটোরিকশা চালকের হাতে জোরপূর্বক ধরিয়ে দিয়ে প্রতিটি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ১ হাজার , ১ হাজার ২ শত ,১ হাজার ৫ শত কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১ হাজার ৮ শত , ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। দাবীকৃত চাঁদা মালিক বা চালকরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের অমানুষিক নির্যাতন প্রহাতে হয় প্রতিনিয়ত। গাড়ি আটকে রাখা, চালককে মারধর করা সহ বিভিন্ন কৌশলে চাঁদার টাকা আদায় করে নিচ্ছে এ বাহিনী। মাঠ পর্যায়ে এলাকা ভাগ করে দেওয়া রব এবং নিয়ন্ত্রণ করে লঞ্চ ঘাট, পলাশপুর, জেলখানার মোড়, কাউনিয়া। ওই এলাকার অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা বলে এই রব সম্পর্কে জানা গেলো ভয়ংকর তথ্য। রবের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটা অটোরিকশা ও রাস্তায় চলাচল করতে পারে না। সে চাঁদার টাকায় একটি মটর সাইকেল কিনে এলাকায় চসে দাবিয়ে বেড়ায় । এক সময় রব অটোরিকশা চালক ছিলো বলে একাধিক সূত্র জানায়। রব অটো গাড়ি আটকে বিট কার্ড দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁদাবাজ রব এর আগে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খেটে বের হয়ে আবার চাঁদাবাজি কওে আসছে। পলাশপুর এলাকার অটোরিকশা চালক সোহেল অভিযোগ করে বলেন , করোনায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিন বেলা পেটভরে খেতে কষ্ট হয় তার মধ্যে এই রবের অত্যাচার, টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখে মারধর করে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে পলাশপুরের একাধিক অটোরিকশা চালক জানায়, রব এ এলাকার গড ফাদার তাকে চাঁদা না দিলে আমাদের গাড়ি রাস্তায় চলতে দেয়না।
এদিকে নগরীর আমতলার মোর, সাগরদী ধান গবেষণা রোড,টিয়াখালী,রুপাতলী ষ্ট্যান্ড, কালিজিরা, বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট এই স্পট গুলো মাঠ পর্যায়ে চাঁদা কালেকসন করে লেদু,জামাল গাজী, আলমগীর এবং তাদের সদস্যরা। এরা রীতিমতো অফিস খুলে বসেছে। চাঁদার টাকা কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অফিসে ধরে এনে মারধর করে অটো জালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সাগরদীর ব্রিজের ঢাল থেকে রুপাতলী এমনকি কালিজিরা এবং জিরো পয়েন্ট সকল স্থানে তাদের লোক আছে। গাড়ি থামিয়ে তাদেও দেওয়া কার্ড চেক করে, কার্ড না থাকলে গাড়ি আটকে রেখে চাঁদার টাকা আদায় করে। টাকা দিতে না পারলে মারধর করে গাড়ি সহ তাদের ধরে নিয়ে অফিসে যায়। পরে সাথে থাকা টাকা পয়সা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে হুমকি দিয়ে বলে বাকি টাকা পরিশোধ করে অফিস থেকে বিট কার্ড নিয়ে যাবি। নগরীর চৌমাথা, জিয়া সড়ক, নথুল্লাবাদ, কাশিপুর এলাকায় মাঠ পর্যায়ে চাঁদা তুলে আফজাল মজুমদার, করিম ও তাদের সহযোগী সদস্যরা। চালক এবং মালিকদের একটাই দাবি এদের লাগাম টেনে ধরা।
বরিশালে স্থানীয় গনপরিবহনে চাঁদাবাজী,মালিক-শ্রমিকরা জিম্মি
