ঐতিহাসিক বার আউলিয়ার দরবার শরীফ ধ্বংস হতে চলেছে দেখার মতো যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। সূত্র মতে, বার আউলিয়া দরবারে খাদেম কমিটির কতৃপক্ষ রাজ্জাক ফকির, হারুন খলিফা, খালেক ফকির, সালাম ফকির, জাহাঙ্গীর মোল্লা, ঈসমাইল খা, কালাম ফকির, বাবু ফকির, জালাল মোল্লা, জুয়েল খা, ফজর খা জানান- বাকেরগঞ্জে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে আউলিয়াপুর গ্রামে দিল্লীর তৃতীয় মুঘল স¤্রাট আকবরের শাসনামলে বাদশা জমিদার আকাবাকেরের স্মৃতি বিজরীত পাঁচশত ষাট বছর পূর্বে পারস্য উপমহাদেশ থেকে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উত্তরসুরী ১১ জন সহ স্থানীয় ১ জন ওলী-আউলিয়া আসেন ইসলাম প্রচারের জন্য দক্ষিন বঙ্গে। তারা ঘাঁটি স্থাপন করেন আউলিয়াপুর গ্রামে এখান থেকেই তারা ইসলাম প্রচার কাজ শুরু করেন। বাদশা ও জমিদার আকাবাকেরের অবহেলার কারণে তারা ওখান থেকে অদৃশ্য হয়ে বাদশা কে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখায় ঠিক অদৃশ্যের স্থানে ১ রাতের মধ্যে বার আউলিয়ার স্মৃতি স্তম্ব নির্মাণ করবি, তিনি এক রাতেই স্মৃতি স্তম্ব নির্মাণ করেন এবং তার নাম দেওয়া হয় বার আউলিয়ার দরবার শরীফ। যার ই.সি. নং-১৬১০৯। সাদের আলী ফকির নামে এক ব্যক্তি বৃটিশ শাসনামলে নিজ সম্পত্তি বার আউলিয়ার দরবার শরীফে নামে ওয়াকফ্ দেন যা সাদের আলী স্ট্রেট নামে কাগজে পরিচিত। তারা আরো বলেন- খালেক নামে এক ব্যক্তি ভূঁয়া মালিক সেঁজে বার আউলিয়ার দরবার শরীফকে মাজার বানিয়ে এর সাথে বুঁড়ির মাজার কালেকট্রি বরিশাল কোতয়ালিয়া থানা, কালির মাজার বাউফল থানা পটুয়াখালী একটি ভূঁয়া কাগজ বের করে যুগ্ন জেলা জর্জ কোর্ট বরিশাল একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। দেং মোকদ্দমা নং-১২/০৩। কথিত আছে দলিলে বা সি.এস. পর্চায় বার আউলিয়ার দরবার শরীফ, সেটা মাজার হয় কি করে? সরেজমিনে সাবেক উপজেলা নির্বাহী, সমাজসেবা, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রঙ্গশ্রী ইউ.পি চেয়ারম্যান গিয়ে মিথ্যা মামলাটির তদন্তের রিপোর্ট সাদের আলী স্ট্রেট অর্থাৎ বার আউলিয়া দরবারের পক্ষে মাজার বাতিল করে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক তাদের মতামত পেশ করেন বাংলাদেশ ওয়াকফ্ প্রশাসক এর কাছে। এই দরবারে নাই কোন এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, মাদ্রাসা, মসজিদ, রেস্ট হাউজ না আছে মহিলা দর্শনাথীদের কোন বসা বা থাকার জায়গা। দান-সদকার মাধ্যমে পূর্ননির্মাণের মসজিদে কলমসহ ছাদের কাজটুকু করা হয়েছে। মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পার্বত্য শান্তিচুক্তির রূপকার আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য দক্ষিন বাংলার মানুষের নয়নের মণি আবু হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া রেস্ট হাউজটি সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে বাৎসরিক তিনদিন ব্যাপী ওরজ-মাহফিলে দেশ-বিদেশী ৫-৭ লক্ষ মুরীদান আশেকান ভক্তবৃন্দ দশর্নাথীদের আগমন ঘটে এই বার আউলিয়ার দরবারে। সরেজমিনে তদন্ত করলেই দরবারের মিথ্যা মামলা, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, রেস্ট হাউজ, মহিলা দর্শনাথীদের থাকার ব্যবস্থার সত্যতা মিলবে। রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউ.পি. সদস্য হাজী মোঃ মাহাবুব আলম খন্দকার, স্থানীয় নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের দৃষ্টি গোচর হলে দরবারের বেহাল দশা, দূরাবস্থা, মিথ্যা মামলা, ভূঁয়া মাজারের ব্যাপারে চিত্র তুলে ধরেন সাংবাদিক ও সমন্বয়কারী হিউম্যান রাইটস (বাসক) বাংলাদেশ তালুকদার মোঃ শহীদ ও শফিক খান এর কাছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীনের কাছে বার বার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। দরবারের বর্তমান মুতাওয়াল্লীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- পবিত্র বার আউলিয়ার দরবার শরীফ মাজার বানিয়ে ভূঁয়া মালিক সেঁজে খালেক নামে এক ব্যক্তি একটি মিথ্যা মামলা যুগ্ম জেলা জজ কোর্টে দায়ের করেন। অবহেলিত ও ধ্বংসের পথে বার আউলিয়া দরবারের বঞ্চিত কমিটি মুতাওয়াল্লীসহ খাদেমবৃন্দ ও এলাকাবাসীর দাবী সরজমিনে তদন্ত পূর্বক বার আউলিয়া দরবারের মসজিদের উন্নয়নসহ সংস্কার মূলক কাজগুলো করা হয় এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
বাকেরগঞ্জের বার আউলিয়ার দরবার শরীফ ধ্বংসের পথে দেখার কেউ নেই।
