জাকির হোসেন :
মহামারী করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে গৃহবন্ধী মানুষের দুর্বিষহ জীবন যাপন এক করুন যন্ত্রনা দায়ক। সরকারী সাহায্য সহযোগীতার হাত প্রায় সকল কর্মহীন হয়ে সকল মানুষের কাছে পৌছেছে। লগডাউন শিথিল করা হয়েছে। দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কম বেশি বেচা কিনা সবাই করছে। কিন্তু সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের কোন কূল কিনারা নেই। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে ও নেই কোন বেচা কেনা। কারন সারা বাংলাদেশে আজ সকল ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ। না আছে জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান, না আছে পিকনিক। সাউন্ড সিস্টেমে যারা শ্রমিক হিসেব কাজ করে তারা কাজের বিনিময় পারিশ্রমিক পায়। কিন্তু সব খোলা অথচ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা পথের পানে চেয়ে আছে। তাদের কি হবে। কিভাবে চলে ঐ সকল দোকানে কর্মরত কর্মচারীদের সংসার। দিনের পর দিন তাদের আয় বানিজ্য বন্ধ। না খেয়ে চলে তাদের সংসার। কেউ কি খোঁজ নিয়ে দেখেছে। চোখের জলে সন্তানদের কোনমতে মুখে কখন ও কখন খাবার তুলে দেয় অসহায় বাবা, আবার কখন ও রাতে সন্তানদের দুমুঠো দিয়ে মা বাবা না খেয়ে চোখের জলে ঘুমিয়ে যায়। সকাল বেলা বেড়িযে পড়ে যদি কিছু পায়। কারো বাড়িতে হয়তো অসুস্থ বাবা মা, অবুজ সন্তান, নিজ স্ত্রী। কেউ কি খোজ নিয়ে দেখেছে কেমন করে চলে ঐ সাউন্ড সিস্টেমে ব্যবসার সাথে জড়িত সকল পরিবার গুলো। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা লাগোয়া ঝালকাঠির গুয়াচিত্রা বাজারের দিপক সাউন্ড সিস্টেমের স্বত্তাদ্বিকারী দিপক বলেন আমাদের আজ দুর্বিষহ জীবন চলছে। সারা বাংলাদেশে সবার ব্যবসা কম বেশি চলছে, শুধু আমাদের ব্যবসা সম্পূর্নরূপে বন্ধ। কারন আমরা সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং ভাড়া দিলে আয়, না দিলে কোন আয় নেই। আমাদের ৫ জন কর্মচারী। কর্মচারীদের আমরা প্রথমে কিছু দিতে পেরেছি কিন্তু এখন আমরাই চরমভাবে সমস্যায় আছি। আমি এটা বলব না যে এই মহামারী করোনায় অনুষ্ঠান চলুক। কিন্তু অন্য কোন যদি উপায় থাকে। আমরা যদি সামান্য তম আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারি। অন্যদিকে বানারীপাড়া বানারীপাড়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন ডিজে স্টার সাউন্ড প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাদ্বীকারী সঞ্জয় হালদার বলেন আমাদের সাউন্ড সিস্টেম, ভিডিও, আলোকসজ্জা, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া দেয়া সহ সকল ধরনের ব্যবসায়ীক কাজ কর্ম দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ থাকায় আমাদের জীবন যাপন করা এখন চরমভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য আমরা বর্তমানে কিছুই করতে পারতেছি না। আমরা নিজেরা ও এক ধরনের খাদ্যভাবে রয়েছি। বাস্তব দিক বিবেচনা করলে প্রকৃতপক্ষে সাউন্ড সিস্টেম, আলোকসজ্জা ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। লগডাউন শিথিল হওয়া স্বত্ত্বে ও ভাগ্য খোলেনি সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের। তাই তাদের এই ক্ষতি কিছুটা হলে ও যাতে কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের শুদৃষ্টি কামনা করছে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীরা।
বানারীপাড়া উপজেলায় সাউন্ড সিস্টেম কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিদারুন কষ্টময় জীবন যাপন।।
