মোঃবশির আহাম্মেদ ঃবাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন যোগ্য পিতার-যোগ্য সন্তান ‘বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ উজ্জল। বাবার যোগ্য সন্তান বলার চেয়ে বড় কোন প্রশংসা আর কিছু হয় না। সেই অনুভুতি দিয়ে আমরা বুঝি, দুধল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ উজ্জল পুরো উপজেলাজুড়ে যতই প্রশংসিত হন, যত অর্জনই তার থাকুক না কেন, মরহুম আলতাফ উদ্দিন খানের যোগ্য সন্তান এটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন। তার বাবা ছিলেন দুধল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাইতো তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বাবার কাছ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাতেখড়ি নেন এবং ১৯৯১ সালে ডিকেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে অনুপ্রবেশ করেন। পরে তিনি হাতেম আলী কলেজ ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও কোন অংশে কমতি নেই তার। বি.কম (অনার্স) এবং এম.কম (একাউন্টিং) পরীক্ষার সনদও রয়েছে তার ঝুলিতে। পিতার যোগ্য সন্তান হওয়া কি চাট্টিখানি কথা? তার পিতা মরহুম উদ্দিন খান স্বাধীনতার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতাসহ ততকালীন প্রতিষ্ঠিত ডিকেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ইউপি নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৭১ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত একটানা পাঁচ টার্ম চেয়ারম্যান হিসেবে জনসেবা, রাজনৈতিক দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার গুনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্ববর্তী দিন পর্যন্ত তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০২ সালে পিতার মৃত্যুর পরে তার মেঝ ভগ্নিপতি খান নিজাম মাস্টার দুধল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান এবং ২০১১ সালে দুধল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে গোলাম মোর্শেদ উজ্জল পিতার রাজনৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে নেতৃত্বদান ও কর্মদক্ষতায় দুধল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে দলকে আরো শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করেন। গোলাম মোর্শেদ উজ্জল তার বিচক্ষণ বুদ্ধি জ্ঞানে জনকল্যাণ আর মানবসেবায় মূর্তিমান প্রতিক খেতাব অর্জন করে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তার বাবার যে অর্জন তা কি সে পেরেছে করতে? তার রেখে যাওয়া এই বিশাল পদচিহ্নের কাছাকাছি যাওয়া কি এত সহজ? সহজ কি হয়েছে তার ছেলে উজ্জলের জন্যও? তাঁকে অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো একে একে সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত দিনে দুধল ইউনিয়নে তেমন কোন উন্নয়ন ছিলো না। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ধারাবাহিকতায় দুধল ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোয়া দিয়েছেন। যেমন ১৭ কিঃ পিচ ঢালাই রাস্তা, এ বছরে আরো ৬.৮০ কিঃ রাস্তা, ৮.৫০ কিঃ হেরিংবন রাস্তা, ২১০০০ ফুট সলিং রাস্তা, ৩১ টি কালভার্ট, ৬টি বক্স কালভার্ট, ১৩ টি ছোট পোল, ৭ টি বড় আয়রন ব্রীজ, ৬ টি গার্ডার ব্রীজ, ৫ টি ত্রানের ব্রিজসহ অসংখ্য মাটির রাস্তা এককথায় দুধল ইউনিয়নের মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সাইক্লোন সেল্টার, স্কুলের একাডেমিক ভবন নির্মাণ। এছাড়াও সকল প্রকার ভাতা (বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি, গর্ভবতী, ভিজিডি ও ভিজিএফ) ভাতা ভোগীদের সরাসরি হাতে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।নিত্য নতুন চিন্তা-ভাবনায় অসাধারণ প্রতিভাবান তরুণ এই ইউপি চেয়ারম্যান করোনা মহামারির ক্রান্তিলগ্নে ভয়াবহ ভাইরাস মোকাবেলায়ও রেখেছিলেন ব্যাপক অবদান। দুধল ইউনিয়নের অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠন করে সব শ্রেণি পেশার মানুষের পাশে থেকে এলাকার কর্মহীন, হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও ইমাম-মোয়াজ্জিমের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এমন গর্বিত সন্তানকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আবারো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবেন এমনটা প্রত্যাশা করেন ইউনিয়নবাসী। সাম্প্রতিক এক জরিপে সাংবাদিকদের কাছে মতামত প্রকাশ করে দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকর্মী ও স্থানীয় সুশীল সমাজ মনে করেন গোলাম মোর্শেদ উজ্জল এখন গত নির্বাচনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কি বিশাল অর্জন এটা! চিন্তা করা যায়? যোগ্য পিতার সেই উত্তরসূরী বর্তমান দুধল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ উজ্জল ধীশক্তি, সাহস ও ধৈর্য দিয়ে একে একে তিনি আজ নিজের জন্য এক অনন্য অবস্থান তৈরি করছেন তাই মানুষ তাঁকে এখন তাঁর বাবার সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে। মানুষ এখন এক বাক্যে স্বীকার করে যে তিনি তাঁর বাবার যোগ্য সন্তান।
বাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ উজ্জল!
