নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনকে অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন জানিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগর হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই প্রতিবেদন ৩রা নভেম্বর জমা দিতে হবে এবং ৬ই নভেম্বর তার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
মিস্টার হোসেন জানান পুলিশের প্রতিবেদনকে অসম্পূর্ণ উল্লেখ ছাড়াও আদালত বলেছে নারায়ণগঞ্জের যে বিচারক ওই প্রতিবেদনকে নথিভুক্ত করেছে তিনি বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গি (জুডিশিয়াল মাইন্ড) প্রয়োগ করেননি।
আদালত বলেছে নারায়ণগঞ্জর পুলিশ প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩মেই নারায়ণগঞ্জ পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছিলো।
পরে এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান শিক্ষককে কান ধরে ওঠ বস করা হচ্ছেন।।
মিস্টার ভক্ত অবশ্য ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
পরে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মিস্টার ওসমান।
কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ আদালতে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে সাংসদ ও শিক্ষক দুজনকেই পরিস্থিতির শিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ হাইকোর্ট এ প্রতিবেদনকেই অগ্রহণযোগ্য ও অসম্পূর্ণ আখ্যায়িত করে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিলো।
বিচারিক তদন্তের নির্দেশ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি লাঞ্ছনার ঘটনার
