মাদারীপুর জেলার শিবচরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি। প্রায় প্রতিদিনই গৃহহারা হচ্ছে মানুষ। উপজেলার পদ্মা নদীবেষ্টিত চরজানাজাত, মাদবরেরচর, বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কমপক্ষে তিন শতাধিক পরিবার গত এক সপ্তাহের ভাঙনে গৃহহারা হয়েছে। বসতবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। গত ২৪ ঘণ্টায় চরজানাজাত ইউনিয়নের ২৭নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের ৩০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এছাড়া চরজানাজাত ইউনিয়নের বেপারীকান্দি, ছিরুমিয়াকান্দি, মালেক তালুকদারকান্দি, খাসেরহাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, মসজিদ, ফসলিজমি ইতিমধ্যেই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। সরেজমিনে চরজানাজাত ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র। নদীভাঙনের পাশাপাশি বন্যার পানিতে গ্রামগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুভোগে দিন কাটাচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দা। নদীভাঙন ও বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করলেও প্রয়োজনের তুলানায় ত্রাণ অপ্রতুল বলে বন্যা দুর্গতরা জানান।
এদিকে পুরো এলাকা পানিবন্দি থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা গিয়েছে এসব এলাকায়। রয়েছে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, নদীর ভাঙনে শিবচরে ৫টি ইউনিয়নের ৪ শতাধিক ঘর-বাড়ি, ২টি স্কুল ও মাদারাসা আক্রান্ত হয়েছে। ১টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণসহ বন্যাকবলিত হয়েছে মোট ৯টি ইউনিয়ন। এ পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে দুর্গতদের মাঝে প্রায় ৪১ মে. টন চাল, ৩ লাখ টাকার শুকনো খাবার, নগদ ১ লাখ টাকা বিতরণ হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মুহূর্তেই বিলীন স্কুলটি
