এর মধ্যে নোবেল ও মৌ একসাথে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও এক বছর পর তারা দু’জন আবারো নাটকে অভিনয় করছেন। এক বছর আগে তারা দু’জন কৌশিক শংকর দাশের নির্দেশনায় লাভ ফাইনালি নাটকে অভিনয় করেছিলেন, যা প্রচার হয়েছে গত বছর ঈদুল ফিতরে। এক বছর পর আবারো কৌশিক শংকর দাশের নির্দেশনায় সবুজের আলতো পথে নাটকে অভিনয় করছেন। নাটকটি রচনা করেছেন প্রসূন রহমান। রাজধানীর তিন শ’ ফুট এলাকায় মাহফুজ আহমেদের নিজস্ব শুটিং হাউজে নাটকটির শুটিং শুরু হয়েছে। নাটকে নোবেল ও মৌ স্বামী-স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করছেন। সুখী দম্পতি হিসেবে তারা একটি গ্রামে বাস করতেন। এক সময় তাদের ঘরে নতুন অতিথি আসার কথা থাকলেও গ্রামে থাকার কারণে যথাযথ চিকিৎসা করাতে না পারায় সেই সন্তান আর পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পারেনি। যে কারণে দূরত্ব বেড়ে যায়। বহু বছর পর আবার দু’জনের দেখা হয়। এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে নোবেল বলেন, ‘আমি আর মৌ বহু দিনের পুরনো বন্ধু। আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজ আছে, সেটা বিজ্ঞাপনেই হোক বা নাটকে। মৌর সাথে কাজ করার সুবিধা হলো, সে থাকলে কাজের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় অনেকটাই। কারণ, আমার প্রায় অর্ধেক কাজ সে-ই করে দেয়। বিষয়টি এমন যে, আমাকে কী করতে হবে, কী না করতে হবে তা সে-ই বলে দিয়ে আমার টেনশন কমিয়ে দেয়। এটা মৌ ছাড়া আসলে অন্য কেউ বোঝেও না।’ সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, ‘নোবেল আমার বহু বছরের পুরনো বন্ধু ও সহকর্মী। আমার পরিবারেরই একজন মানুষ। তার সাথে কাজ করার অনুভূতি আসলে প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা একজন আরেকজনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করি। আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, আমরা একজন আরেকজনের ইমেজ নিয়ে এতটাই সচেতন থাকি যে, কাকে কোন গেটআপে, কোন লুকে ভালো লাগবে; তাও খেয়াল করি। যে কারণে আমাদের কাজগুলো সব সময়ই অনেক ভালো হয়, দর্শকনন্দিতও হয়।’ আসছে ঈদে এনটিভিতে সবুজের আলতো পথে নাটকটি প্রচার হবে। এ দিকে নোবেল ও মৌ সর্বশেষ ‘রবি’র একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন, যা বর্তমানে বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। আসছে ঈদে নোবেলকে একটি নাটকে দেখা গেলেও মৌকে দেখা যাবে জাহিদ হাসান ও আলভী আহমেদ নির্দেশিত নাটকেও। কারণ হিসেবে মৌ জানান, এবারের ঈদে তিনি নাচের অনুষ্ঠান নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন।
মৌ সবুজের আলতো পথে নোবেল
