মোঃবশির আহাম্মেদ : বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষকের নামে মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক হ্যাঁও প্রতিপন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১৯ নং বিরঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহামুদ সিকদার বিদ্যালয়ে সুনামের সহিত দীর্ঘদিন চাকরি করে আসছে তার সুনাম নষ্ট করা অপচেষ্টায অত্র বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা মোঃ হাতেম আলী খানের পুত্র সাইফুল ইসলামের দাবিকৃত চাঁদা টাকা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এবং সাংবাদিক ভাইদের কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বানোয়াট ষড়যন্ত্রমূলক কল্পকাহিনী দিয়ে নিউ ছাপানো হয়েছে।
বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহমুদ শিকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ৩’৫১’৩’৮০ টাকার অর্থ আত্মসাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রকৃতপক্ষে সরকারি বরাদ্দ ও স্লিপ গ্রাউন্ড হচ্ছে।২০১২-১৩ অর্থবছরে অনুদান ৩০ হাজার টাকা । ২০১৩-১৪ অর্থবছরের অনুদান ৩০ হাজার টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের অনুদান ৩০ হাজার টাকা।২০১৬-১৭ অর্থবছরের অনুদান ৪০ হাজার টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের অনুদান ৪০ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুদান ৫০ হাজার টাকা। এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫০ হাজার টাকা অনুদান আসে যাহার০৯ পার্সেন্ট ভ্যাট কর্তন করে বাকি টাকা ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক বাকেরগঞ্জ শাখায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ হিসাব ৩০২১০০০০৯৮৭০ নম্বর থেকে উত্তোলন করে নিম্নবর্ণিত খাবে ব্যয় করা হয়েছে।যেসকল খাদে অর্থ ব্যয় করা হয়। বেন্স মেরামত, কর্মপরিকল্পনা তৈরি, উপকরণ প্রকাশনী আলনা, উপকরণ বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা।
বর্ণ বাণী লেখা, শিশু বই, ম্যাপ তৈরি, ওজন মেশিন ক্রয়। ডিজিটাল মানচিত্র, বায়োমেট্রিক হাজিরা, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, ওয়ান ওয়ার্ক ডাইরি, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত জ্যামিতি বক্স ফ্রি, হাতের লেখার খাতা, প্রত্যেক জাতীয় দিবসের ব্যানার, বিদ্যুতের মালামাল ক্রয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, লাইব্রেরীর বই, শিক্ষা উপকরণ সিলেবাস। ফলাফল বিবরণ, হোয়াইট বোর্ড, কাপ শিশুদের ড্রেস, ফুটবল, ক্রাম বোর্ড, টিফিন বক্স, মেধা পুরস্কার, বিজ্ঞান ভিত্তিক মডেল উপজেলা ও জেলার ম্যাপ, ফল বৃক্ষ ক্রয়, ব্লাকবোর্ডের কালী করণ,মা সমাবেশ, বিদ্যালয়ের দরজা ও জানালা নেয়ামত সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়েছে।
যাহা ক্যাশ মেমো মাধ্যমে প্রত্যেক অর্থবছরের শেষে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ( ক্লাস্টার ) এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
ষড়যন্ত্রকারীরা আমার উপরে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা প্রমাণ করতে পারলে আমি তার দায়ভার ও শাস্তি মাথা পেতে নেব।
প্রকৃতপক্ষে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছে অর্থ দাবী করলে আমি তাদেরকে অর্থ না দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে সমুদয় অর্থ ব্যয় করলে।
তারা আমার উপরে কিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেলে হেডমাস্টার এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমার ধারণা যেহেতু নিউজ এর সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি এখানে অন্য কোনো ঘটনা ও থাকতে পারে তদন্ত সাপেক্ষে সব বেরিয়ে আসবে নাম না প্রকাশের শর্তে ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য জানান সভাপতির ছেলে উন্নয়নমূলক কাজের অর্ধেক টাকা দাবি করিলে প্রধান শিক্ষক অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানান তারই ধারা-বাহিকতায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে পাদ্রিশিবপুর মোহাম্মাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ডাকুয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি আমাকে হেডমাষ্টার সাহেব কে তার ভাড়া বাসায় বাকেরগঞ্জ সদর রোডে ডেকে নিয়ে তার ছেলের অপরাধ স্বীকার করেন এবং প্রধান শিক্ষককে তার ছেলের ধিক্কারজনক ঘৃণিত কাজকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান
সভাপতি পুত্রের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
