হিজলা প্রতিনিধি : বরিশাল হিজলা উপজেলায় বিশাল অংশের সম্পত্তি দখলে নিতে নিকট-আত্মীয় পক্ষ ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে গুয়াবাড়িয়া গ্রামের পাঁচ পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। হামলা ও একের পর এক মিথ্য মামলায় বিপর্যস্থ হয়ে গ্রাম ছেড়েছে ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাম তালুকদার,ইসমাইল তালুকদার,সুরমা বেগম ও অহিদ মাষ্টার। এছাড়াও ওই গ্রামের বাসিন্দা সামাদ তালুকদার নামে একজন ঢাকা থাকলেও মিথ্যা মামলা ও জীবননাশের ভয়ে নিজের পৈত্তিক ভিটায় আসতে পারছে না। বাড়িতে প্রবেশ করতে হলে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হয়। খোজ নিয়ে জানা যায়,এই পাঁচটি পরিবারের বিরুদ্ধে হিজলা থানা ও বরিশাল জুডিশিয়াল আদালতে অন্তত ১৫টি হয়রানী ও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচটি পরিবারের উপর বিভিন্ন সময়ে হামলা করা হয়েছে। উপায়ন্ত না পেয়ে বেচেঁ থাকার তাগিদে,পিতৃ-ভিটার মায় ছেড়ে যে যার মতো করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আহম্মদ উল্লাহ্য, আল-আমিন তালুকদার,হাবিবুল্লাহ্য ও ছানা উল্লাহ্য এ সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাচ পরিবারের প্রায় ১৫ একর সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার প্রতিশ্রæতিতে বা শর্তে হিজলার এক আ’লীগ নেতা ও স্থানীয় বেশকিছু দাগি সন্ত্রাসীরা আহম্মদ উল্লাহ্য, হাবিবুল্লাহ্য ও ছানা উল্লাহ্য গ্রæপে অবস্থান নিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, হিজলা গুয়াবাড়িয়া গ্রামের জম্মাদ্দার বাড়ি লাঘোয়া মিরা বাড়ীর বসত ভিটা,বাগান,পুকুরসহ প্রায় ১৫ একর সম্পত্তি সন্ত্রাসীরা ভোগ দখলে আছে। প্রকৃত মালিক সালাম তালুকদার,ইসমাইল তালুকদার,সুরমা বেগম ও অহিদ মাষ্টার ও সামাদ তালুকদার গ্রাম ছাড়া। তারা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। এমনকি নিকট আত্মীয় ও সন্ত্রাসিরা একত্রিত হওয়ায় জীবন বাচিয়ে রাখ দায় হয়ে গেছে। তাই পিতৃ-ভিটা ও গ্রাম ছেড়ে ফেরারি জীবন যাপন করছি। ভূক্তভোগি অহিদ মাষ্টার শোনালেন রুপ কথার গল্প। তিনি বলেন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম তখন সব কিছু ঠিক ছিলো এরপর আমি অবসরে যাওয়ার পরে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন,অবসরের টাকাই আমার জিবনের কাল হয়ে দাড়ায়,আমার ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহকে পাগল বলে শিকল দিয়ে বেধে রেখেছে ওকে আগে বাঁচান।আমার ভাই বোন দের জমিতে আসলে হামলা করে পরে আবার মামলা করে। এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় অনেকের সাথে। অহিদুল মাষ্টার (তালুকদার)এর পরিবার সম্পর্কে কেউ কোন মুখ খুলতে নারাজ প্রাণ যাওয়ার ভয়ে।এলাকাবাসি নাম না প্রকাশ সত্তে জানায়, আমরা যদি সত্য কথা বলি তাহলে আমাদের উপর হামলা করবে এবং মামলা করে দিবে এদের সাথে থানার ওসির সাথে ভাল সম্পর্ক আছে।আনাস মাদক খায় ও মাদক বিক্রয় করে তাদের অনেক টাকা পয়সা রয়েছে বড় মাপের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ওঠা বসা রয়েছে।তাদের কেহ কিছু করতে পারে নায় আর কেহ পারবেনা তার চাচারা পর্যন্ত তাদের জমিতে আসতে পারে না ভয়ে।নাম প্রকাশে অনি”ছুক একাধিক ব্যাক্তি আরো জানায়, বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে লাভ নেই।এর সমাধান দিতে পারেনি এসপি,থানা পুলিশ,চেয়ারম্যান,মেম্বার এমনকি উপজেলা প্রশাসন।বিষয়টি হিজলা,মুলাদি,মেহেন্দিগঞ্জ,কাজিরহাট সহ বিভিন্ন প্রশাসন জানেন। আলাপ হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লার সাথে আলাপকালে জানান,বিষয়টি খুবই জাটিল মেম্বার হিসাবে তিনিও মন্তব্য করতে রাজি নন।গুয়াবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদার জানান,ঐ পরিবার সম্পর্কে তার ধারণা নেই।হিজলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী জানান,সম্পত্তি একক ভাবে ভোগ করার জন্য এ নাটক।তিনি ক্ষোভের সাথে জানান- থানা পুলিশের কাছে গেলে সেখানেও পুলিশ একচোখা দৃষ্টিতে দেখছেন।হামলা ও মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া পাচ পরিবার এঘটনা সত্য।মোহাম্মাদ উল্লাহকে উদ্ধার করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।হিজলা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন জানান,আহম্মাদ উল্লাহ, আলামিন,আনাস,বোন লায়লা এরা খারাপ প্রকৃতির লোক এটা যেমন টিক আবার তার চাচারাও যে অনেক ভাল তা নয় সকলের কম বেশি দোষ রয়েছে।
হিজলায় পাঁচ পরিবার ফিরতে পারছে না পিতৃ-ভিটায়
